আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে নিম সাধারণত দুটি ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়। একটি হল দাঁতের ব্রাশ হিসেবে নিম ডালের ব্যবহার এবং অন্যটি হল বিভিন্ন চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার। শুধু নিমের ডাল দিয়ে দাঁত মাজলেই পূঁজযুক্ত মাড়ি ও নড়া দাঁত সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হয়। দাঁতের জন্য এটি একটি অব্যর্থ ওষুধ।
এখানে উল্লেখযোগ্য, যে নিয়মে দাঁত মাজলে বিভিন্ন দাঁতের রোগে অত্যন্ত উপকার হয় সে নিয়মটি আমাদের অধিকাংশ লোকেরই জানা নেই অথবা জানা থাকলেও আলসেমি করে পালন করা হয় না।
আমরা সাধারণত একটি পরিমানমত নিমডাল নিয়ে তার এক মাথা চিবিয়ে নরম করি এবং সেই নরম অংশ দিয়ে দিনের পর দিন দাঁত মাঝি। এতে করে আমরা উপকারের পরিবর্তে অপকার পাই অনেক বেশি। এর কারণ, যে অংশটুকু প্রথম দিন চিবিয়ে নরম করে দাঁত মাজা হলো, দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনেই সে অংশটুকু শুকিয়ে যায় এবং এর ভেতরে ছত্রাক জন্মাতে পারে।
প্রাসঙ্গিক লেখাটি পড়ে নিন-
দাঁতের ক্ষয় রোগ ও দাঁত ব্যথার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
নিমের ডাল দিয়ে দাঁত মাজার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি
প্রথম দিন তাজা নিম ডালের যে অংশটুকু চিবিয়ে নরম করে দাঁত মাজা হলো দ্বিতীয় দিন সে অংশটুকু কেটে ফেলে দিতে হবে এবং নতুন করে আরও কতটুকু চিবিয়ে নরম করে নিতে হবে।
এইরূপ ভাবে প্রতিদিনই পুরোনো অংশ কেটে ফেলতে হবে এবং নতুন অংশ চিবিয়ে নিতে হবে। ডালটি শুকিয়ে গেলে নতুন তাজা ডাল নিয়ে মাজতে হবে।
এ নিয়মে দাঁত মাজলে অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলা যায় যে এটিই সকল প্রকার দন্তরোগ বা দাঁতের রোগের সর্বশ্রেষ্ঠ ওষুধ হিসেবে প্রমাণিত হবে।